তৃণমূল কংগ্রেসের ঘরে বোতাম টিপলে ভোট যাচ্ছে BJP-এর দিকে। এমনই গুরুতর অভিযোগ আনল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই অভিযোগেই উত্তাল দক্ষিণ কাঁথির বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বুথ। ভোটারদের বিক্ষোভে বন্ধ হয়ে যায় সেখানে ভোটগ্রহণ।
8.84% and 7.72% voter turnout recorded till 9 am, in the first phase of polling in Assam and West Bengal Assembly elections, respectively: Election Commission of India
(Visuals from a polling centre in Patashpur, East Midnapore District, West Bengal) pic.twitter.com/mi51MHElor
— ANI (@ANI) March 27, 2021
ভোটলুটের অভিযোগ তুলে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ভোটাররা। তাঁদের অভিযোগ, EVM-এ যেকোনও জায়গায় বোতাম টিপলেই তা BJP-তে পড়ছে। তাই তাঁদের আবার ভোটদানের সুযোগ দিতে হবে। পালটে দিতে হবে VVPAT ও EVM। ভোটারদের বিক্ষোভের জেরে ভোটদান এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে বলেই খবর। যদিও ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের দাবি, ভোটাররা VVPAT দেখেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে।
West Bengal BJP President Dilip Ghosh casts his vote at a polling booth in Jhargram in the first phase of state assembly elections. pic.twitter.com/bAL4RulEMy
— ANI (@ANI) March 27, 2021
BJP নেতা ও নন্দীগ্রামের প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পালটা দাবি, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হচ্ছে। ভয় দেখিয়ে পরিবর্তন আটকে রাখা যাবে না। ভোটারদের একাংশের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন BJP-এর রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তাঁর দাবি, তৃণমূল হেরে যাওয়ার ভয়েই এইসব অভিযোগ তুলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল চাপে রয়েছে। তাই এইসব অভিযোগ করছেন।
TMC knows that it is losing & that's why it is saying all this. For such complaints, TMC should go to the Election Commission. TMC & Mamata Banerjee are under pressure and that is why they are saying such things: BJP West Bengal Pres Dilip Ghosh on TMC alleging rigging of polls pic.twitter.com/81XvGsEl76
— ANI (@ANI) March 27, 2021
রাজনৈতিক জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারেবারেই ভোটকর্মীদের সতর্ক করতে শোনা গেছে। তিনি বলেছেন, যাঁরা বুথ এজেন্ট ও পোলিং এজেন্ট তাঁরা যেন বাড়ি থেকে খাবার আনতে অনরোধ করেছেন। বলেছেন, বাইরে বা অন্য কারোর দেওয়া খাবার না খেতে। কেউ চক্রান্ত করে তাদের খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ বা এমন কিছু মিশিয়ে দিতে পারে। যাতে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন ভোটকর্মী। এই অবস্থায় দক্ষিণ কাঁথিতে এহেন গুরুতর অভিযোগে শোরগোল পড়েছে রাজ্যে।