ভবঘুরেদের পাশে দাঁড়াল বীরভূমের পুলিশ প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপুরহাট স্টেশনে ভবঘুরেদের মধ্যাহ্ন ভোজন করাল রামপুরহাট থানার পুলিশ। যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজন করানো হবে বলে জানান রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সায়ন আহমেদ।
রবিবার থেকে ১৫ দিনের আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তার আগেই সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ করেছে রাজ্য সরকার। বন্ধ বেশ কিছু স্পেশাল ট্রেন। ফলে রামপুরহাট স্টেশনে যাত্রী যাতায়াত কার্যত নেই বললেই চলে। ফলে বন্ধ ভিক্ষাবৃত্তি। ফলে অর্থাভাবে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছিলেন ভবঘুরেরা। তাদের মুখে একবেলা দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে উদ্যোগ নেয় পুলিশ।
সেই মতো বুধবার দুপুরে দুই শতাধিক ভবঘুরেদের মুখে দুপুরের আহার তুলে দেয় রামপুরহাট থানার পুলিশ। স্টেশনে উপস্থিত থেকে খাবার বিতরণ করেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সায়ন আহমেদ, রামপুরহাট থানার IC দেবাশিস ঘোষ, সাব ইন্সপেক্টর সুখেন্দু লেট সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার। সায়ন আহমেদ বলেন, “পুলিশ সুপারের নির্দেশে দিনে একবারের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন আমরা দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা চালু রাখব”।
দেবাশিস ঘোষ বলেন, “এদিনের ভাত, ডাল, সবজি, মাছের সঙ্গে ছিল দুটো মিষ্টি। এক বোতল ঠাণ্ডা জলের বোতল দেওয়া হয়েছে প্রত্যেককে”। এদিন হাসপাতাল চত্বরেও বেশ কিছু রোগীর আত্মীয়কে খাবার পরিবেশন করা হয়েছে”।
প্রসঙ্গত, গতবছর লকডাউনের সময় তৎকালীন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌমজিৎ বড়ুয়ার উদ্যোগে বীরভূম জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ৫৩ দিন ধরে দুবেলা খাবার পরিবেশন করেছিল ভবঘুরেদের মধ্যে। রামপুরহাট শহরের আপামর ব্যবসায়ী এবং শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় পুষ্টিকর খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল। তারই পুনরাবৃত্তি করা হল বলে জানা গিয়েছে।
একইভাবে বুধবার থেকে তারাপীঠের সাধুদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে তারাপীঠ মুণ্ডমালিনীতলা মায়ের মন্দির। মন্দিরের সম্পাদক উত্তীয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এর আগেও আমরা এরকম ভবাবে তারাপীঠের সাধু সন্তদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এবারও ২০০ জনের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে”।