নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: জমি থেকে আলু ওঠার সময় ব্যবসায়ীরা আলু কিনে রাখেন হিমঘরে। আর চাষিরা কিছু আলু সঞ্চয় রাখেন নিজেদের বাড়িতে, আবার কিছুটা হিমঘরে। আলু ফুল লোড হয়ে গেলে বন্ধ করে দেওয়া হয় হিমঘর। পুনরায় হিমঘর কবে খুলবে সেটা নির্ভর করে আলুর দামের উপর। দাম বেড়ে গেলে তাড়াতাড়ি খুলে দেওয়া হয় হিমঘর। চাষিরা বাড়িতে এখন যে আলু সঞ্চয় করে রেখেছেন অর্খাৎ চাষির বাড়ি থেকে আলু কিনলে এখন সেই আলুর বাজার বস্তা প্রতি ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা। আর রেডি বাজার মানে ডালা বাছাই আলুর দাম প্রায় ৬৫০ টাকা বস্তা। পরিবহন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে কলকাতার বাজারে সেই আলু খুচরো বিক্রি হচ্ছে কিলো প্রতি প্রায় ১৫ টাকা দরে। আশা করা যাচ্ছে, আর কিছুদিন পরে ৫০০ টাকা ফ্রি-বন্ডে স্টোর খুলবে। এরকম দাম থাকলে আলুর ক্লিয়ারেন্স ভালো থাকবে আর ক্লিয়ারেন্স ভালো হলে ভবিষ্যৎ ভালো হবে। অর্থাৎ চাষি ও ব্যবসায়ী যাঁরা হিমঘরে আলু সঞ্চিত রেখেছেন তাঁরা কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পাবেন বলে মনে করেছেন অভিজ্ঞ আলু ব্যবসায়ীরা।
এবছর আলুতে লোকসানের সম্ভাবনা নেই বরং লাভের আশা আছে, তার আরও একটি কারণ গত বছর যে রেটে আলু স্টোর লোড হয়েছিল এবছর তার হাফ দামে হয়েছে এবং স্টোর লোডিং পার্সেন্টেজ গতবছরের সমতুল। গতবার বস্তা প্রতি আলু লোড হয়েছিল ৮৫০ টাকায়, এবছর লোড হয়েছে ৩৭০-৫০০ টাকায়। আর আলু লোডিংয়ের হার গতবারের মতোই ৮০ শতাংশর কাছাকাছি হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে। যদিও এখনও লোডিং পার্সেন্টেজ কাউন্টিং হয়নি, তাই সঠিকভাবে এখনই বলা যাচ্ছে না কত শতাংশ আলু লোডিং হয়েছে। আলু লোডিংয়ের পার্সেন্টজ কত অর্থাৎ হিমঘরগুলিতে কত শতাংশ আলু ভরাই হয়েছে তা বোঝা যাবে আগামী ২-১ দিনের মধ্যেই। তবে স্টোর লোডিং আলুর দাম গতবারের থেকে এবার তুলনামূলক কম কিন্তু লোডিং হয়েছে প্রায় সম পরিমাণ। আর গতবার সারাবছরই ফ্রি-বন্ড বিক্রি হয়েছে বস্তা প্রতি ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। তাই সেই হিসেবে থেকে দেখতে গেলে এবার আলুতে লাভের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ ব্যবসাীরা।