নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: স্পাইন বা মেরুদন্ডের চিকিৎসায় যুগান্তকারী অস্ত্রোপচার করে রোগীকে সুস্থ করে তুললেন বেঙ্গালুরুর মণিপাল হাসপাতালের বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক ডক্টর বিদ্যাধর শ্রীনিবাস। যা দক্ষিণ ভারত তথা গোটা ভারতে প্রথম। সৌজন্যে অত্যাধুনিক রোবোটিক টেকনলজি।
অভিজ্ঞ রোবোটিক স্পাইন সার্জেন ডক্টর বিদ্যাধর শ্রীনিবাস বলেন, “দীর্ঘ সময়ের এই অস্ত্রোপচারের পুরোটাই ছিল রোবোটিক পদ্ধতিতে। পুদুচেরির ফরেনসিক মেডিসিনের এক অধ্যাপকের টপ ভার্টিব্রিতে S2-iliac স্ক্রু ও সিমেন্টে অগমেন্টেশনের মাধ্যমে স্পাইনাল ডিকম্প্রেশন ও স্পাইনো-পেলভিক ফিউশন (T12-ilium) সার্জারি হয় ১৮ অক্টোবর। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। যা এতটাই সফল যে, ৬৮ বছর বয়সী ওই অধ্যাপকের শরীরের এত বড় অস্ত্রোপচারের তেমন কোনও ধকল পড়েনি। বরং কোনওরকম যন্ত্রণা ছাড়াই অস্ত্রোপচারের পাঁচ ঘণ্টা পরেই হাঁটাচলা করতে সক্ষম হন তিনি। মুক্তি পান শারীরিক সমস্যা থেকে। অস্ত্রোপচারের দুই দিন পরেই হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয় তাঁকে।”
তিনি আরও জানান, বছর দশেক আগেই পুদুচেরির ওই অধ্যাপক ডিকমপ্রেশন সহ লাম্বার ক্যানাল স্টেনোসিসের অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন অন্য কোথাও। কিন্তু তারপরেও সমস্যা থেকে গিয়েছিল। হাঁটাচলা করতে পারছিলেন না। তাঁর পা দুটি ভারী হয়ে আসত আর অসাড় হয়ে যাচ্ছিল। এর জন্য সবরকম প্রথাগত চিকিৎসা করিয়েছেন। নিয়েছেন স্পাই ইঞ্জেকশনও। কিন্তু তাতেও তাঁর তেমন কোনও সুরাহা হয়নি।
পরে ওই অধ্যাপক জানতে পারেন বেঙ্গালুরর ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডের মণিপাল হাসপাতালের সাম্প্রতিক নয়া সংযোজনের কথা। সেখানে বসানে হয়েছে অধ্যাধুনিক MazorX মেশিন। যাতে রয়েছে ইন্ট্রা-অপারেটিভ O-arm imaging ও রেডিওলুসেন্ট টেবিলের সুবিধে। এরপরই তিনি চলে আসেন মণিপাল হাসপাতালে।
চিকিৎসক বিদ্যাধর শ্রীনিবাসের কথায়, “ওই অধ্যাপক যখন চিকিৎসার জন্য আমাদের কাছে আসেন তখন তিনি ৩-৫ মিনিটও হাঁটাচলা করতে পারছিলেন না। ভুগছিলেন সিভিয়ার লাম্বার ক্যানাল স্টেনোসিস (Stenosis L1-S1) সহ ইনস্টেবিলিটিতে। আর এই সমস্যা ক্রমশ পায়ের দুর্বলতা তৈরি করে এবং মল-মূত্রের বেগ চেপে রাখা অসম্ভব হয়ে ওঠে।” এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অস্ত্রোপচার করিয়ে এখন সুস্থ আছেন ওই বয়স্ক অধ্যাপক। এধরনের বড়সড় অস্ত্রোপচারে সাফল্যের জন্য অত্যাধুনিক রোবোটিক টেকনলজিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসক বিদ্যাধর শ্রীনিবাস।