নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু
Share it

“নেতাজিকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়নি।” শনিবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীতে এই আক্ষেপের সুর শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। এবছর থেকে রাজ্য সরকার এই দিনটিকে ‘দেশনায়ক’ দিবস হিসেবে পালন করবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।


শনিবার নেতাজি জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে রেড রোড পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। নেতাজি জয়ন্তীতে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে সাইরেন বাজানো হয় শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে। শাঁখ বাজিয়ে নেতাজিকে স্মরণ করা হয়।


শ্যামবাজারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নেতাজির মতো দেশপ্রেমীর তুলনা মেলা ভার। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জন গণ মন’ গানটিকে তিনি জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে প্রচার করেছিলেন। তিনিই প্রথম ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দেন। তিনি একজন বড়মাপের দার্শনিকও ছিলেন। প্ল্যানিং কমিশন এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি তৈরি করা তাঁরই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি তাঁর প্রাপ্য সম্মান পাননি।”


কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, “আজ কেন্দ্রীয় সরকার নেতাজিকে সম্মান জানানোর কথা বলছে। কিন্তু, ওরাই তো প্ল্যানিং কমিশন তুলে দিয়েছে। আমি জানি না সেটা কেন হয়েছে। আমরা সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবসকে ‘দেশনায়ক’ দিবস হিসেবেই পালন করব। কবিগুরুই প্রথম নেতাজিকে ‘দেশনায়ক’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।”


নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী পালনের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটিও তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কমিটিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।


একইসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজির নামাঙ্কিত একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও জয় হিন্দ বাহিনী গঠনের কথাও ঘোষণা করেন। শুধু তাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজারহাটে আজাদ হিন্দ ফৌজের নামে একটি স্মৃতিসৌধও তৈরি করা হবে।

Share it