অমিত শাহ যেখানে মমতা বিরুদ্ধে ভাতিজা ও দুর্নীতিকে সমার্থক হিসেবে রেখে বক্তব্য শানিয়েছেন তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা। পৈলানে তৃণমূল কর্মীদের সভায় হাজির থেকে তিনি বলেন, আগে ভাতিজার সঙ্গে লড় পরে দিদির সঙ্গে লড়বে।
Jakir is my most popular leader. Whoever did it, their aim was to kill him. A proper investigation should be done into the incident. We have already constituted SIT which will investigate every angle: West Bengal CM on bomb attack on State minister Jakir Hossain pic.twitter.com/ZdUSKj1O1r
— ANI (@ANI) February 18, 2021
মমতা বলেন, রোজ রোজ ভাতিজা বলছ তোমার ছেলেও আমার ভাতিজা। তোমার ছেলেও কিন্তু দুর্নীতি থেকে রেহাই পাবে না। কী করে সে ক্রিকেট প্রশাসনের উচ্চপদে বসে, কী করে সে ১৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করে। তোমার ছেলেকেও লুকিয়ে রাখতে পারবে না।
অভিষেকের রাজানীতিতে আসা নিয়ে মমতা বলেন, অভিষেক আমার কাছে কোনও বিশেষ অগ্রাধিকার পায় না। তাহলে সে এতদিনে উপ মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য উচ্চ পদে চলে যেত। ও সামান্য একটা আসনের সাংসদ এবং সংগঠন দেখে। আমাকে যখন হাজরায় মারা হয়েছিল তখন ও ছোটো ছিল। আমার মাথায় ব্যান্ডেজ দেখে ও জিজ্ঞাসা করত কে মেরেছে। ওর মা বাবারা বলেছিল ওকে পিসিকে সিপিএম মেরেছে। দুই বছর বয়সেই কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে একা মিছিল করত। বলত পিসিকে মারলে কেন জবাব চাই, জবাব দাও। ছোটবেলা থেকেই রাজনীতিতে ওর আগ্রহ ছিল। অমিত শাহদের কটাক্ষ করে মমতা বলেন, তোমরা তোমাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দাও। আমার দাদার ছোটো একটা মেয়ে ছাড়া কেউ বিদেশে যায়নি।
অভিষেককে অ্যাক্সিডেন্ট করে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। ও একটা চোখে দেখতে পায় না। চোখে মণি উপড়ে চলে এসেছিল। খুব খারাপ লাগে আমার জন্য ওকে কথা শুনতে হয়। অভিষেককে বলেছিলাম, তোকে ভোটে দাঁড়াতে হবে না। দুই পার্টির কাজ কর। তোকে রাজ্যসভায় আসন দেব। ও রাজি হয়নি। বলেছে, আমি মানুষের ভোটেই নির্বাচিত হব। এটা তো আমার হাতের মুঠোতেই ছিল। আমার পরিবারের সবাই রাজনীতি করে, কিন্তু কেউ উঁচু জায়গাতে নেই। যখন ইন্দিরা গান্ধী হেরে গিয়েছিলেন তখন আমরা ছয় ভাই দুই বোন মিছিল করতাম। তখন কাউকে দেখতে পাইনি। ছোটো থেকে সব পরিবার বড় হয়। আমাদের পরিবারও বড় হয়েছে। ৪০-৫০ বছর সময় লেগেছে এতে।
অমিত শাহের চেহারা নিয়েও কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন লড়াই করতে গেলে ডেডিকেশন থাকতে হয়। আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা মানুষ। ওই রকম চেহারা নিয়ে লড়া যাবে না।