দু লক্ষের গণ্ডি অনায়াসেই টপকে ফেলল করোনা ভাইরাস। হ্যাঁ, অনায়াসেই। এভাবে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে মাস্কহীন হয়ে বাজারে, বাসে-ট্রেনে সর্বত্র ঘুরে বেরালে সংখ্যাটা ২ লক্ষ কেন ৫ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতেও সময় লাগবে না। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভোটবঙ্গে চলছে জনসভা আর মিছিল মিটিংসের উৎসব। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।
India reports 2,00,739 new #COVID19 cases, 93,528 discharges and 1,038 deaths in the last 24 hours, as per Union Health Ministry
Total cases: 1,40,74,564
Total recoveries: 1,24,29,564
Active cases: 14,71,877
Death toll: 1,73,123Total vaccination: 11,44,93,238 pic.twitter.com/B5quloIUjH
— ANI (@ANI) April 15, 2021
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৩৯ জন। এর জেরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৪০ ছাড়াল। প্রথমবার দেশে ২ লক্ষের গণ্ডি পেরোল করোনা আক্রান্ত। মোট আক্রান্তের নিরিখেও বিশ্বে দ্বিতীয় ভারত। প্রথম আমেরিকা।
Maharashtra Government's 15-day statewide restrictions, in the wake of the #COVID19 situation, came into effect from 8 pm yesterday. Section 144 imposed across the state. Visuals from Pune. pic.twitter.com/hq0x4pbMUv
— ANI (@ANI) April 15, 2021
এদিকে বাংলার পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৪। বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজারের দোরগোড়ায়। মাত্র একদিনে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১ হাজার। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ৩২ হাজার ৬২১ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৩.১৬ শতাংশ।
পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে বুধবার দুপুর থেকেই কলকাতার প্রত্যেকটি বাজারে করোনা বিরোধী সচেতনতার প্রচার শুরু করে প্রায় প্রত্যেকটি থানা। লালবাজারের নির্দেশে মাইক নিয়ে কলকাতার প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারে শুরু হয়েছে প্রচার। বড়বাজারের অন্তত পাঁচটি এলাকা, পোস্তা বাজার, গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, ভবানীপুর, উত্তরের হাতিবাগান, মানিকতলা বাজারে লাগাতার প্রচার শুরু হয়েছে। কোথাও-বা করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রচারের জন্য তৈরি হয়েছে ক্যাম্প।
লালবাজারের সূত্রে জানা গেছে, শুধু সচেতনতা প্রচারই নয়, ধরপাকড় ও জরিমানাও করা হচ্ছে কোভিড বিধি না মানলে। মাস্ক না পরার জন্য সোমবার ১৩৩ জন, মঙ্গলবার ১৫৭ জনকে ধরা হয়েছে। করা হচ্ছে স্পট ফাইন। ধৃতদের বিরুদ্ধে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে মামলা করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে ধৃতদের থানায় নিয়ে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা বসিয়েও রাখা হচ্ছে।