Anubrata Mondal
Share it

এবার হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির রাখার দায়ে অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস পাঠাল আয়কর দফতর। সাত দিনের মধ্যে নোটিসের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে সাংবাদিকদের এনিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারান অনুব্রত। সাংবাদিকের প্রশ্ন করার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

দীর্ঘও দিন ধরেই অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন বিরোধীরা। বিধানসভা নির্বাচনে সেই প্রশ্ন আর জোরালো হয়। এমনকি বোলপুর কেন্দ্রের BJP প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগকে আর উস্কে দেন। দিন দুয়েক আগেই অনির্বাণবাবু বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের থাকতেই পারে বেহিসাবি সম্পত্তি। কিন্তু তাঁর নিরাপত্তারক্ষী চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় এবং সাইগেল হোসেনের দুটি করে বাড়ি, হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি হয় কীভাবে?”

এরপরেই এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে চিঠি পাঠায় আয়কর দফতর। একই সঙ্গে তাঁর চার নিকট আত্মীয়কেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে নোটিসের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর রাজ্যের মধ্যে আসানসোল, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি রয়েছে। এনিয়ে অনির্বাণবাবু বলেন, “আয়কর দফতর তার কাজ করছে। বোলপুরের মানুষ প্রশ্ন করছে একজন দলের জেলা সভাপতির নিরপত্তারক্ষী এত সম্পত্তি হয় কীভাবে? এই বোলপুরের মানুষের কথার পুনরাবৃত্তি করেছিলাম। অনুব্রত একটা শূন্য থেকে অনেক গুলো শূন্য হল কীভাবে? এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এনিয়ে তদন্ত শুরু করব। এখন উনি আয়কর নোটিসের উত্তর দিক।”

এদিন সন্ধ্যার দিকে রামপুরহাটে এসে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন অনুব্রত। সেখানে সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশাধিকার ছিল না। সেই বৈঠক শেষে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন। সেখানে সাংবাদিকরা আয়কর নোটিস নিয়ে প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারান অনুব্রত। তিনি সাংবাদিককে ধমক দিয়ে বলেন, “বললাম তো আমি কোন নোটিস পাইনি। এনিয়ে তুমি আমাকে প্রশ্ন করতে পারো না।”

Share it