অভিযুক্তকে না পেয়ে তার বাড়িতে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনকি অভিযুক্তের বোনের সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মারধর করা হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকেও। অভিযুক্তের বাবা এ নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের লাভপুরের মানপুর গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথ কোনাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় শনিবার বেলার দিকে পুলিশ তার বাড়িতে যায়। তাকে বাড়িতে না পেয়ে সমস্ত ঘরে তল্লাশি চালায় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ তল্লাশির নামে বাড়িতে অকথ্য অত্যাচার চালায়। ১৩ মে জগন্নাথের ঠাকুমা মারা যান। তার ক্রিয়াকর্ম চলছিল বাড়িতে।
অভিযুক্তের বাবা মাখন কোনাইয়ের অভিযোগ, লাভপুর থানার পুলিশ অফিসার জাকির হোসেন এবং দুই কনস্টবল বাড়িতে অত্যাচার চালায়। মেয়ের সোনার গয়না ছিনিয়ে নেই। অন্তঃসত্ত্বা ভাইজির পেটে লাঠি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। ক্রিয়াকর্মের জিনিসপত্র লাঠি মেরে লণ্ডভণ্ড করে। আমরা তফসিল জাতিভুক্ত হওয়ায় জাতি তুলে কটু কথা বলে। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে যান ওই অফিসার।
মাখন বাবু বলেন, “পুলিশ যাওয়ার সময় আমাকে গাঁজার মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যায়। এমনকী সোনার গয়নার পাশাপাশি ৮০ হাজার টাকা নগদ নিয়ে চম্পট দেয়”।
BJP-এর জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “বীরভূম জেলায় গণতন্ত্র বিপন্ন। BJP করার অপরাধে জগন্নাথের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এদিন তাকে ধরতে মহিলা পুলিশ না নিয়ে গিয়ে মহিলাদের উপর অত্যাচার চালায়। ভাঙচুর চালায় বাড়িতে। সোনার গয়না, টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। বিষয়টি রাজ্যপাল, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও মানবাধিকার কমিশনে জানানো হয়েছে”।
জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি বলেন, “জগন্নাথের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। পুলিশ তাকে ধরতে গিয়েছিল। পুলিশ কোনওরকম বাড়াবাড়ি করেনি। পরিবারের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সব বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়”।