প্রার্থী হিসাবে সিউড়ির বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়ের নাম বলতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন কিছু যুবক। এরই মধ্যে সভাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান মহিলারা। যদিও অনুব্রতর সাফাই, “বেলা হয়ে যাওয়ায় ওরা চলে যাচ্ছে। ওদের যেতে দিন।”
শনিবার ছিল তৃণমূলের বীরভূমের রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের মাঠে জনসভা। সভায় দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের মেন্টর রানা সিংহ, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, দলের জেলা সহ সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য, ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়। সভায় সব শেষে বক্তব্য রাখতে ওঠেন অনুব্রত মণ্ডল।
তিনি বলেন, আপনারা ভাবছেন হাঁসনে কে প্রার্থী হবে। কিন্তু সেটা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন। আমি হলে আপনাদের আপত্তি আছে? সুকুমার হলে আপনাদের আপত্তি আছে? চিকিৎসক চট্টোপাধ্যায় হলে তো আপনাদের আপত্তি নাই! বর্তমানে সিউড়ির বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়ের নাম বলতেই মঞ্চের ডান দিকে বসে থাকা কিছু যুবক উঠে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন।
তাঁরা বলতে শুরু করেন অশোক চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী হিসাবে মানব না। সুকুমার মুখোপাধ্যায়কে প্রার্থী করতে হবে। বিক্ষোভ থামাতে অনুব্রত মণ্ডলকে বক্তব্য বন্ধ রেখে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এরই মাঝে মহিলারা সভাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে শুরু করেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত বলেন, “প্রার্থী ঠিক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই ভোট দেবে মানুষ।”
সাংসদ শতাব্দী রায় প্রসঙ্গে অধিকাংশ প্রশ্ন এড়িয়ে যান অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু এই সমস্ত জনসভায় কেন শতাব্দীকে দেখা যাচ্ছে না? অনুব্রত বলেন, “ওঁর সংসদে থাকা খুব দরকার। সংসদটা খুব ভালো বোঝে। তবে জনসভায় আসার জন্য কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। অসিত মাল তো সব সভায় থাকছেন। যাঁদের সময় হবে তাঁরা আসবেন। আমরা সবাই কর্মী। দু’পয়সার নেতার কোনও দাম নেই।”
শতাব্দী অভিযোগ করেছিলেন তাঁকে উন্নয়ন করতে দেওয়া হয় না। উত্তরে অনুব্রত বলেন, “ওনার সাংসদ তহবিলের টাকায় উনি নিজেই উন্নয়নের কাজ দেখাশোনা করেন। উন্নয়নে কেউ কাউকে বাধা দেয় না।”
বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে কি শতাব্দীকে দেখা যাবে? প্রশ্নে শুনে অনুব্রত বলেন, “উনি চাইল প্রচার করবেন। এটা তো ওনার লোকসভা কেন্দ্র। উনি আসতেই পারেন।”