রবিবার জোড়া করোনা টিকা, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI)। আর সমস্ত জল্পনার অবসান করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে, ১৩ জানুয়ারি থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়ে যাবে টিকাকরণ। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, “প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। ১৩ তারিখের মধ্যেই আমরা টিকাকরণের কাজ শুরু করে দেব।”
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব বলেন, “প্রথমে ভ্যাকসিন নির্মাতাদের তরফে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা ও হরিয়ানার সরকারি মেডিক্যাল স্টোর ডিপার্টমেন্টের ডিপোয়। সেখান থেকে ৩৭টি রাজ্য ভ্যাকসিন কেন্দ্রে সেগুলিকে পৌঁছে দেওয়া হবে। তারপর তা পৌঁছবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে।” রাজেশ ভূষণ আরও বলেন, “সারা দেশের ২৯ হাজার কোল্ড স্টোর রয়েছে, যেখানে ভ্যাকসিনগুলি সঠিকভাবে সংরক্ষিত করে রাখা হবে।”
গত ২ জানুয়ারি দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫১৭টি কেন্দ্রে টিকাকরণ প্রক্রিয়ার মহড়া বা ‘ড্রাই রান’ চালানোর পরেই করোনা টিকা ব্যবহারের পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে সাফল্যের কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ড্রাই-রান নিয়ে যে রিপোর্ট মিলেছে, তার উপর ভিত্তি করেই জরুরি ভিত্তিতে করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদনের ১০ দিনের মধ্যে কোভিড-১৯ টিকাকরণ চালু করতে প্রস্তুত সরকার। রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, “প্রথম দফায় ৩০ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”