সাত ঘণ্টার নাটকের জবনিকা পতন হল সোনিয়া গান্ধীর আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী থাকার মধ্যে দিয়েই। সোমবার দিনভর আক্রমণ প্রতিআক্রমণের খেলা চলল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। বেলা এগারোটা নাগাদ শুরু হয় কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। সোনিয়া গান্ধী অন্তবর্তী সভানেত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাওয়ার জেরে পরবর্তী সভাপতি মনোনয়নই মূল আলোচ্য বিষয় ছিল। সেখানেই প্রকাশ্যে চলে আসে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব।
রাহুল গান্ধী তোপ দাগেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতৃত্বের দিকে। সু-নেতৃত্বের অভাব এবং দলের সাংগঠনিক সমস্যা তুলে ধরে চিঠি পাঠানো দলের ২৩ জন শীর্ষ নবীন-প্রবীণ নেতাকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রাক্তন সভাপতি ও সোনিয়া-পুত্র। তাঁর মন্তব্য, ‘বর্ষীয়ান নেতৃত্বের অনেকের সঙ্গেই BJP-র যোগ রয়েছে।’ চিঠি লেখা নেতাদের উদ্দেশ্যে রাহুল গান্ধীর আরও ঝাঁঝাল আক্রমণ শানান। বলেন, সনিয়া গান্ধী ‘অসুস্থ থাকার সময়’ ওই ‘চিঠি’ পাঠানো হয়েছিল। রাহুলের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন গুলাম নবি আজাদ এবং কপিল সিব্বল।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রাহুলের মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করেন রাজ্যসভায় কংগ্রেসের নেতা গুলাম নবি আজাদ। বলেন, ‘BJP-যোগ প্রমাণিত’ হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন তিনি। টুইট করে হতাশা ব্যক্ত করেন আরও এক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, ‘গত ৩০ বছরে BJP-র সমর্থনে একটাও মন্তব্য করিনি। তবুও BJP-র সঙ্গে আমাদের আঁতাতের অভিযোগ তোলা হল।’
যদিই কিছুক্ষণের মধ্যে টুইট মুছে দিয়ে আরেকটি টুইটে সিব্বল বলেন, ‘রাহুলের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন ওই মন্তব্য তিনি করেননি। তাই আগের টুইট প্রত্যাহার করছি।’
পরে দলের বর্ষীয়ান নেতা কেইএচ মুনিয়াপ্পা জানিয়েছেন, ‘আগামী ছয় মাস সনিয়া গান্ধীই কংগ্রেস সভানেত্রী পদে থাকবেন। তবে তাঁকে দৈনন্দিন কাজে সহায়তার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই সময়ের মধ্যে পরবর্তী সভাপতি ঠিক করে নেওয়া হবে।’