sadhan-pande
Share it

নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: ১৯৮৫ সালের মার্চে বড়তলা বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রথম জয়লাভ করেন সাধন পাণ্ডে। সেই থেকে টানা ৯ বার রাজ্য বিধানসভার সদস্য। রাজ্য বিধানসভায় একমাত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায়ই তাঁর থেকে বেশি বার বিধায়ক হয়েছেন। ১৯৮৫-র উপনির্বাচনের পর ১৯৮৭, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বড়তলা কেন্দ্র থেকে জেতেন সাধন পাণ্ডে।

এর মধ্যে ১৯৮৫ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তিনি কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন। ২০০১ থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তৃণমূলের বিধায়ক রইলেন। রাজ্যের মন্ত্রী এবং মানিকতলা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ৭১ বছর বয়সে। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি।

গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র কল্যাণ চৌবেকে হারান ২০,২৩৮ ভোটে। গত ১০ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় শপথ নেওয়ার পর জোড়া দফতরের দায়িত্ব পান। বিধানসভা ভোটের প্রচারপর্বেও এক বার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সাধন পাণ্ডে। ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে।
জুলাই মাসের মাঝামাঝি ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সাধন। সেপ্টেম্বরে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। দীর্ঘদিনের সতীর্থ সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রবিবার বিকেলেই আনা হবে কলকাতায় মানিকতলার বিধায়কের দেহ। বিমানবন্দরে হাজির থাকবেন মন্ত্রী শশী পাঁজা ও সুজিত বসু। রবিবার রাতে তাঁর দেহ রাখা থাকবে পিস হাভেনে। সোমবার শেষকৃত্য হবে। তবে সময় এখনও জানা যায়নি।

ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের পাশাপাশি রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বনিযুক্তি দফতরেরও মন্ত্রী ছিলেন সাধন। তাঁর অসুস্থতার জন্য গত অগস্ট মাসে ওই দু’টি দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। তবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আচমকা মৃত্যুর পর ফের হাতবদল হয় ওই দুই দফতরের। সাধন পাণ্ডেকে দফতরহীন মন্ত্রী রেখে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Share it