ফের অনুব্রতর সভায় বিশৃঙ্খলা। আবারও সম্মেলন মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন কর্মী সমর্থকেরা। পরে দলের নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এদিন অনুব্রত মণ্ডল স্বীকার করে নিয়েছেন পঞ্চায়েত নির্বাচন না করিয়ে ভুল হয়েছে। এবার করাব।
বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে বৃহস্পতিবার ছিল সাঁইথিয়া ব্লকের মাঠপলসা, বনগ্রাম অঞ্চলের সম্মেলন। সম্মেলনে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বুথে কেন হার, কেনই বা অন্যরা বেশি ভোট পেল জানতে চান অনুব্রত। সেই মতো বনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪২ নম্বর বুথ সভাপতি শান্ত মণ্ডলকে হারের কারন জানতে চান।
শান্তবাবু বলেন, “অঞ্চল সভাপতি কোভিড মণ্ডল কোনও সভা ডাকেন না। আর ব্লক সভাপতি সাবের আলি খান কখনও প্রধান আবার কখন অঞ্চল সভাপতির পক্ষ নেন। ফলে আমাদের হার হয়েছে।”
এরপরেই ক্ষুব্ধ হয়ে অনুব্রত বলেন, “আগেই বলা হয়েছিল অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে বলবেন। আপনি যা বললেন তাতে সংবাদমাধ্যম আপনার দিকে তাক করে রয়েছে। যান আপনার বক্তব্য শুনব না।”
এরপরেই তার মাইক কেড়ে নিয়ে কার্যত ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। এনিয়ে ব্লক সভাপতির অনুগামীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। অঞ্চলের অধিকাংশ কর্মী সমর্থক বুথ সভাপতির সমর্থনে সভাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যান। এরপর সাঁইথিয়া শহর সভাপতি পিনাকী দত্ত পরিস্থিত সামাল দেন।
অন্যদিকে, মাঠপলসা ১৯৮ নম্বর বুথের সভাপতিকে পরাজয় এবং কংগ্রেস কেন অনেক ভোট পেল জানতে চান অনুব্রত। বুথ সভাপতি বলেন, “পঞ্চায়েতের যিনি সদস্য হয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভে মানুষ কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। তাছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচন না হওয়ায় সদস্যরা নির্বাচিত হয়ে আসেননি। এনিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাই হেরেছি।” তখন অনুব্রত বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন না করিয়ে ভুল করেছি। বেশ এবার ভোট করাব। আপনারা নিজের নিজের ক্ষমতায় জিতে আসবেন।”