লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে ঐতিহাসিক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার
Share it

নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় ও সীতাকুণ্ড সংলগ্ন অঞ্চলে “সীতা-রাম” মন্দির স্থাপনের দাবি তুলল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। এমনকী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা পাহাড়ের উপর এবার তারাও গীতাপাঠের অনুষ্ঠান করবে বলে ঘোষণা করেছে।

দলের রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন, “এটা আমাদের কাছে খুব দুর্ভাগ্যজনক যে সনাতনী হিন্দুদের আবেগ রাম মন্দির পুনঃনির্মাণের দিন উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে মাত্র কয়েক হাজার মানুষ যারা সরকার ঘনিষ্ঠ বা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব তাদেরই শুধু রাম মন্দির উদঘাটন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার অনুমতি দিতে চলেছে। এটা খুব দুঃখের যে এই রামমন্দির জনআন্দোলনের পিটিশন আমরা অখিল ভারত হিন্দু মহাসভাই করেছি অথচ আমরাই সেই অনুষ্ঠানে ব্রাত্য। উপযুক্ত সম্মান দিয়ে ডাকা হয়নি আন্দোলনের পুরোধা পুরুষ লালকৃষ্ণ আদবানিজি এবং মুরলী মনোহর যোশী জিকেও।”

তাই ওই ২২ জানুয়ারিতেই “অযোধ্যা পাহাড় যাত্রার” ডাক দেওয়া হয়েছে। দেশের সব রাজ্যের বাসিন্দাদেরই অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে ওই যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য। অযোধ্যা যেমন প্রভু শ্রীরামের জন্মভূমি, সেইরকম পুরুলিয়া জেলাস্থিত অযোধ্যা পাহাড় প্রভু শ্রীরামচন্দ্রের কর্মভূমিও। এখানে প্রভু রাম, দেবী সীতা এবং লক্ষণজি বেশ কিছুদিন সময় কাটান। এমনকি তৃষ্ণার্ত সীতাদেবীকে জল দিতে গিয়ে প্রভু রাম তীর দিয়ে ভূগর্ভের সুমিষ্ট জল তুলে আনেন, যা সীতাকুণ্ড নামে খ্যাত। যেহেতু ভগবান রামচন্দ্রের পরবর্তী অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাই আমরা অযোধ্যা পাহাড়ের উপর গীতাপাঠ অনুষ্ঠান করতে চলেছি ২২ জানুয়ারি। এবং ভবিষ্যতে এই অঞ্চলেই “সীতা-রাম” মন্দির স্থাপনের সংকল্প নেওয়া হয়েছে।

পাশাাপশি রবিবার ব্রিগেডে “লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ” অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার প্রতিধিনিরা। এরাজ্যে এধরনের ধর্মীয় অনু্ষ্ঠান আয়োজনের জন্য আয়োজন ও রাজ্য সরকারকে দলের তরফে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হবে বলেও জানিয়েছেন রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী।

Share it