বাজারে পুলিশি টহলদারি
Share it

লকডাউনের গেরোয় এবং পুলিশি অত্যাচারে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাজার বন্ধের ডাক দিলেন রামপুরহাটের প্রধান সবজি বাজারের ব্যবসায়ীরা। আন্দোলনকে উপেক্ষা করায় বেশ কিছু দোকানির সবজি রাস্তায় ছড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরাই। তাদের দাবি, বাজার নিয়ে তারা এখানে ওখানে ছোটাছুটি করবেন না। নিয়ম মেনে পুরনো জায়গাতেই বাজার বসতে দিতে হবে।

৩১ তারিখ পর্যন্ত কার্যত ঘোষিত লকডাউন ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। এই সময় পর্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় থাকা সবজিবাজার ফাঁকা মাঠে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। শরের বিভিন্ন প্রান্তে ফাঁকা মাঠে বাজারের নতুন জায়গা চিহ্নিত করে প্রশাসন। কিন্তু মাত্র দু’ঘণ্টার জন্য তারা অন্যত্র যাবেন না বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিবাদে সোমবার রামপুরহাট শহরের রেলপাড়ের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে প্রতিবাদ শুরু করে। মঙ্গলবার থেকে শহরের প্রধান সবজি বাজার একই রাস্তায় হাঁটতে শুরু করল। এদিন রামপুরহাট থানার পুলিশ, পুরসভার বিভাগীয় বাস্তুকার ডালটন চট্টোপাধ্যায় সবজি বাজারে গিয়ে ব্যবসা নতুন জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। তাতে ব্যবসায়ীরা রাজি না হওয়ায় সমস্ত দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ চলে যেতেই দোকান বন্ধ করে আন্দোলনে নামেন ব্যবসায়ীরা। ওই সবজি বাজারেই বাড়ি রামপুরহাটের বিধায়ক, প্রাক্তন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর বাড়িতেও জমায়েত হন তারা। সমস্যার সমাধান না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সবজি বাজার বন্ধের ডাক দেয় তারা। তাদের আন্দোলনে সাড়া না দিয়ে অন্যত্র দোকান খোলায় সবজি রাস্তায় ছড়িয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।

ব্যবসায়ী শম্ভু দাস বলেন, “আমরা সরকারি নির্দেশ মেনে নিজের জায়গাতেই ব্যবসা করতে চাই। সে কথা আমরা বিধায়ককে জানিয়েছিলাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন পুলিশ আমাদের এখান থেকে অন্যত্র যাওয়ার জন্য জোরজুলুম করতে থাকে। তাই আমরা বাজার বন্ধ করে দিলাম”।

সুমিত্রা লেট বলেন, “আমরা গ্রাম থেকে সবজি কিনে ভ্যানে করে বাজারে আসি। পুলিশ এরকম জুলুম করলে কীভাবে ব্যবসা করব”?

Share it