স্ত্রী ও সন্তানকে পুড়িয়ে মারা অপরাধে দুই দশক পর যাবজ্জীবন সাজা হল স্বামীর। বুধবার সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারক ওই রায় শোনান।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের নানুর থানার নাওদা গ্রামের বাসিন্দা কাজী জামাল উদ্দিন ১৯৯০ সালের ৪ জুলাই বিয়ে করেন হালিমা বিবি (২৪) কে। অভিযোগ ছিল, বিয়ের পর থেকেই বাড়তি পণের দাবিসহ কারণে অকারণে হালিমার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতো জামাল। ইতিমধ্যে তাদের একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তারপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। বিয়ের বছর দুয়েক পর ১৯৯২ সালের ১১ জুলাই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মা ও ১০ মাসের সন্তানের। হালিমার বাপের বাড়ির অভিযোগ করেছিল, জামাই ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আগুন ধরিয়ে তাদের মেয়ে ও সন্তানকে হত্যা করেছে।
দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে মামলা চলার পর এদিন রায় দেন সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারক। সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় কাজী জামাল উদ্দিনকে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০১ ধারায় আরও তিন বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। আদালতের সরকারি আইনজীবী তপন গোস্বামী বলেন, “দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে।”