জে পি নাড্ডার রোড শো
Share it

“মানুষই পশ্চিমবঙ্গ থেকে উৎখাত করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে।” পূর্ব বর্ধমানের জগদানন্দপুর গ্রামের মাঠের সভা থেকে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন BJP সভাপতি জে পি নাড্ডা৷ তিনি বলেন, “মাঠে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বাংলার মানুষ আগামীদিনে বিজেপিকেই ক্ষমতায় দেখতে চাইছে। আমরা বাংলায় সরকার গঠন করব এবং আগামীদিনে কৃষকদের জন্য কাজ করব।”


জগদানন্দপুর সভা থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকার এবং শাসক দলকে আক্রমণ করেন তিনি৷ কটাক্ষের সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মমতাদি, এত ভয় কেন? কী হয়েছে? খালি বলে হবে না, হবে না৷ মে মাসের পর থেকে হবে, হবে, হবে৷”


শনিবার বিমানে দিল্লি থেকে অণ্ডাল বিমানবন্দরে পৌঁছন জে পি নাড্ডা৷ এর পর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে পৌঁছন কাটোয়ার জগদানন্দপুর গ্রামে পৌঁছন বিজেপি সভাপতি৷ স্থানীয় রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে পুজো দিয়ে সভা মঞ্চে পৌঁছন নাড্ডা৷


একদিকে কৃষি আন্দোলনে উত্তাল দিল্লি। অন্যদিকে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির রাজ্যে কৃষকদের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোর কর্মসূচি। আর এই কর্মসূচির কেন্দ্রস্থল হিসেবে শনিবার বেছে নেওয়া হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলাকে। জেপি নাড্ডার সভার নামও দেওয়া হয়েছিল ‘কৃষক সুরক্ষা সভা’৷


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই বাংলার কৃষকরা প্রধানমন্ত্রীর কৃষক সম্মান নিধি যোজনার আর্থিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত বলেও এদিন অভিযোগ করেন নাড্ডা। সম্প্রতি রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে আবেদনকারী কৃষকদের তথ্য যাচাইয়ে রাজি হয়ে৷ দিল্লিকে চিঠি লিখে সেকথা জানিয়েওছে নবান্ন। সেই প্রসঙ্গ তুলে নাড্ডা বলেন, “এতদিনে মমতাদি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে প্রকল্পে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন৷ আপনার আর দরকার নেই দিদি৷ আমরা কৃষক সুরক্ষা সভা করলাম, তখন গিয়ে আপনার মনে পড়ল? বিজেপি-র সরকার ক্ষমতায় এলে বাংলার কৃষকরা এমনিই অর্থ সাহায্য পাবে৷”

শনিবার দুপুরে মথুরা মণ্ডল নামে এক কৃষকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন জে পি নাড্ডা৷ এদিন সভা থেকেই ‘এক মুঠো চাল’ কর্মসূচিরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল এবং সব্জি সংগ্রহ করা হবে৷ সংগৃহীত চাল এবং সব্জি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কৃষকদের মধ্যেই তা বণ্টন করবে বিজেপি৷

Share it