মোশারফ হোসেন মণ্ডল
Share it

জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মোশারফ হোসেন মণ্ডল। ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে বুধবারই পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। যদিও অনাস্থা আনার আগেই মোশারফ হোসেনের পদত্যাগ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোড় জল্পনা শুরু হয়েছে।
শুনুন মোশারফ হোসেনর বক্তব্য:

তৃণমূল শিবিরের দাবি আস্থা ভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই নিজে থেকে সরেছেন মোশারফ হোসেন মণ্ডল। মোশারফ হোসেন বলেন, নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। তাই নীতি নৈতিকতার কারনেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

শুভেন্দুর হাত ধরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতির চেয়ারে বসেছিলেন মোশারফ হোসেন মণ্ডল। শুভেন্দু অধিকারী BJPতে যোগদানের পর দলে ক্রমাগত কোনঠাসা হতে থাকায় ২০২০ ডিসেম্বরে অধীর চৌধুরীর হাত ধরে ফের কংগ্রেসে ফিরে আসেন মোশারফ হোসেন মণ্ডল। কংগ্রেসের টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে নওদা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু TMC প্রার্থীর কাছে ব্যাপক ভোটে পরাজিত হন। শুধু তাই নয় মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস একটি আসনেও জিততে পারেনি এবার।

নির্বাচনের পর থেকেই দলত্যাগী মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রক্রিয়া চলছিল। জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে সরাতে তৃণমূল আগামী ২৪ তারিখ অনাস্থা প্রস্তাব আনছিলেন। তার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, তার আগেই সভাধিপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন মোশারফ হসেন মণ্ডল।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানিয়েছেন, ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও পদত্যাগ পত্র গৃহীত হওয়ার কোনও চিঠি তিনি পাননি। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হচ্ছে এমন চিঠিও পাননি তিনি। পদত্যাগের কারণ হিসাবে জানিয়েছেন, “জেলায় কংগ্রেসের ভারাডুবি হয়েছে। এই পরাজয় মেনে পদে থাকাটা উচিত নয় বলেই মনে করি। তাই নীতি নৈতিকতার কারনে পদত্যাগ করেছি।” জেলা তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, আস্থা ভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনে নিজে থেকেই সরেছেন।

Share it