বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই পুজো কমিটিগুলির জন্য একগুচ্ছ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সংক্রমণ রুখতে পুজো কমিটিগুলির কাছে নানা আবেদন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাগুলি:-
১. কোভিড বিধি মেনেই হবে বাঙালির প্রাণের উৎসব। প্রতিটি পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।
২. বিদ্যুৎ দেওয়া হবে ২৫ শতাংশ ছাড়। CESC ও পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদের বিলে এই ছাড় পাওয়া যাবে।
৩. দমকলকে কোনও টাকা দিতে হবে না। কর ছাড় দেবে পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলি।
৪. করোনা পরিস্থিতির জেরে এবার পুজো কার্নিভাল হবে না।
এছাড়াও করোনা বিধি মেনে কীভাবে দুর্গা পুজো করতে হবে বিষয়েও গাইডলাইনের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেগুলি হল:-
১. প্যান্ডেল খোলামেলা করতে হবে৷ মণ্ডপের চারপাশ খোলা রাখতে হবে৷ চারপাশ ঘেরা থাকলে মণ্ডপের ছাদ খোলা রাখতে হবে যাতে হাওয়া চলাচল করতে পারে এবং সংক্রমণের আশঙ্কা কমে৷
২. মাস্ক-স্যানিটাইজার রাখতে হবে প্রতিটি পুজো কমিটিকে। যাঁরা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের ফেস শিল্ড দিতে হবে।
৩. কোনও রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এ বার করা যাবে না।
৪. ভিড় করা যাবে না বিসর্জনের শোভাযাত্রায়।
৫. পুজোর সময় যে সব সংস্থা পুরস্কার দেয় তারা যাতে দু’টির বেশি গাড়ি না নিয়ে মণ্ডপে যায় এবং প্রয়োজনে ভার্চুয়ালি মণ্ডপ দেখার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
৬. মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অঞ্জলি যেন সকলেই একসঙ্গে না দেন। সিঁদুর খেলাতেও তাই করুন।
৭. প্রসাদ বিতরণেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। দর্শনার্থীরা ফুল-বেলপাতা নিজেরাই নিয়ে যেতে পারলে ভালো হয়।
৮. একদিনে সব বিসর্জন নয়। সকলকে সচেতন থাকতে হবে। পুলিশ, দমকল, স্বাস্থ্য সব বিভাগকে নিয়ে একটা কো-অর্ডিনেশন কমিটি তৈরি করার নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর।
৯. ঘাটগুলিতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ।
১০. স্বাস্থ্য দফতরকে ভলেন্টিয়ার বাড়ানোর পরামর্শ।