নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফের হিজাব বিতর্কে। এবং এটিও কর্ণাটকেই। হিজাব পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসায় পরীক্ষাই দিতে পারলেন না কর্ণাটক বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির দুই হিজাবপন্থী পড়ুয়া। হলে ঢুকতেই দেওয়া হল না তাঁদের।
জানা গেছে, আলিয়া আসাদি এবং রেশম নামের ওই দুই ছাত্রী হিজাব পরেই পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। এরা দু’জনই হিজাবপন্থী আন্দোলনের প্রথম সারির মুখ। কিন্তু, তাঁদের পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরীক্ষাকেন্দ্রের পর্যবেক্ষকরা সাফ জানিয়ে দেন, পোশাকবিধি না মানলে পরীক্ষা দিতে দেওয়া যাবে না। শুক্রবার থেকে কর্ণাটকে বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার আগেই কর্ণাটক শিক্ষা দফতর নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও পরীক্ষার্থী হিজাব পরে এলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পড়ুয়াদের পোশাকবিধি মেনেই পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে হবে। কিন্তু, আলিয়া ও রেশম তা না মেনে হিজাব পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করেন। প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট ওই দুই পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কর্তৃপক্ষের তর্ক-বিতর্ক চলে। তবে তাতে লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্র ছেড়ে ফিরে যান তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটক সরকারের একটি নির্দেশিকাকে ঘিরে হিজাব বিতর্কের ঝড় উঠেছিল দেশজুড়ে। ওই নির্দেশিকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। লাগাতার প্রতিবাদ আন্দোলনের জেরে বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয়েছিল কর্ণাটক সরকারকে। সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতেরও দ্বারস্থ হন কয়েকজন মুসলিম পড়ুয়া। সেই মামলাকারীদের মধ্যে অন্যতম আলিয়া আসাদি এবং রেশম। ওই মামলার ভিত্তিতেই কর্ণাটক হাই কোর্ট মার্চের ১৫ তারিখ ঐতিহাসিক রায় দেয়। আদালত স্পষ্ট জানায়, ইসলাম ধর্মাচরণে হিজাব অপরিহার্য নয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টও কর্ণাটক সরকারের ফরমান জারি রাখে। ফলে সেই আইন অনুযায়ীই হিজাব পরে কলেজে ঢুকতে পারলেন না দুই ছাত্রী।