গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুটি গাড়ি আটক করে প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার করল রামপুরহাট থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়ির চালক, খালাসি সহ তিন বিস্ফোরক কারবারিকে। মঙ্গলবার তাদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের আট দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রামপুরহাট থানার পুলিশ হানা দেয় হস্তিকাঁধা গ্রামে। সে সময় দুটি সাদা পিকআপ ভ্যান জঙ্গলের মধ্যে দাঁড়িয়েছিল। বিশাল পুলিশ বাহিনী সেই গাড়ি দুটি আটক করে। আটক করা হয় পাঁচ জনকে। উদ্ধার করা হয় ৩৪০০ জিলটিন স্টিক। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে গাড়ি দুটি ঝাড়খণ্ডের মলুটি গ্রাম হয়ে হস্তিকাঁধা গ্রামের জঙ্গলে ঢুকেছিল। উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের কোন বৈধ কাগজ তাদের কাছে ছিল না। জেরে করে পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃতরা অবৈধ ভাবে বিস্ফোরকের কারবার করত। ধৃতরা হল যশপাল সিং, রাহুল যাদব, বাপী ঘোষ, কালিপদ লেট ও সুখদেব লেট। যশপাল ও রাহুল দুটি গাড়ির চালক। যশপালের বাড়ি পাঞ্জাবের অমৃতসর জেলার মাঝহিতা গ্রামে হলেও বর্তমানে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের জামুরিয়া থানার নিংহা মোড়ের একটি হোটেলে থাকে। রাহুল একই এলাকার বাসিন্দা। বাকি তিনজন রামপুরহাট থানার রদিপুর গ্রামের বাসিন্দা। তারা আসানসোল থেকে বিস্ফোরক বোঝাই করে আনছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
দশ দিনের হেফাজতে চেয়ে এদিন তাদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলে পুলিশ। আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারক পরাগ নিয়োগী প্রত্যেককে আট দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বলে জানান সরকারি আইনজীবী সুরজিৎ সিনহা।