দুর্গাপুজোয় দর্শকদের প্রবেশাধিকার দিতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে রিট পিটিশন দায়ের করেছিল ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’। রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জিতে সামান্য ছাড় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একনজরে দেখে নেওয়া যাক আদালতের পরিবর্তিত নির্দেশিকাগুলি।
১. NO ENTRY জোনে রাখা যাবে ঢাকিদের। তবে সেক্ষেত্রে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
২. ছোট পুজোয় (৩০০ বর্গমিটারের কম আয়তনের) নো এন্ট্রি জোনে ঢোকার জন্য ৩০ জনের তালিকা রাখা গেলেও একসঙ্গে ১৫ জনের বেশি ঢুকতে পারবেন না।
৩. বড় মণ্ডপগুলিতে (৩০০ বর্গমিটারের বেশি) ভিতরে ঢোকার জন্য পুজো কমিটির সদস্য ও ঢাকি মিলিয়ে ৬০ জনের তালিকা বানানো যাবে। তবে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৫ জন থাকতে পারবেন।
৪. প্রতিদিন বদল করা যেতে পারে পুজো উদ্যোক্তাদের নামের তালিকা।
৫. সকাল আটটার সময় সেই তালিকা মণ্ডপের বাইরে টাঙিয়ে দিতে হবে।
৬. নো এন্ট্রি জোনে অঞ্জলি, সিঁদুরখেলায় ছাড় দেওয়া হয়নি।
সোমবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চের রায় ছিল, ছোট পুজোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ জন এবং বড় পুজোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ জন পুজোর জন্য নো এন্ট্রি জোনে ঢুকতে পারবেন। দর্শকদের ওই নো এন্ট্রি জোনে ঢোকা নিষিদ্ধ। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটি। বুধবার শুনানির দু’টি ক্ষেত্রে সামান্য ছাড় দিয়ে কার্যত আগের রায়ই বহাল রেখেছেন দুই বিচারপতি।