ভ্যাকসিন নিয়ে গিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হল বীরভূমের নলহাটিতে। হুড়োহুড়িতে পরে গিয়ে বেশ কয়েকজন পদপিষ্ট হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার মানুষ। অভিযোগ ওঠে ভ্যাকসিন দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে।
মঙ্গলবার নলহাটি জুনিয়ার হাইস্কুলে কোভ্যাকসিন দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। নাম দেওয়া হয় মেগা ভ্যাকসিন। নলহাটি পুরসভার পক্ষ থেকে আগের দিন শহরে মাইকিং করে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই মতো সকাল থেকে বহু মানুষ স্কুলের গেটের সামনে জমায়েত হতে শুরু করে। সকাল ১০ টা নাগাদ স্কুলের গেট খুলতেই হুড়োহুড়ি পরে যায়। ছোটাছুটিতে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। অনেকে মাটিতে লুটিয়ে পরেন। তাদের উপর দিয়েই ছুটতে থাকেন মানুষ। খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছয় নলহাটি থানার পুলিশ। পুলিশ দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কিছু মানুষ। তারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এদিকে হুড়োহুড়িতে পরে গিয়ে আহত হন শ্যামলী মণ্ডল। ফলে তিনি ভ্যাকসিন না নিয়েই ফিরে যান। নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে এভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিবাদে ভ্যাকসিন না নিয়ে ফিরে যান মোনালিসা পাণ্ডে। তারা বলেন, “পুরসভা মাইকিং করে জানিয়ে দিল। কিন্তু কীভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তার নিয়মকানুন ঠিক করেনি। ফলে সামাজিক দুরত্ব বিধি শিকেয় তুলে ভ্যাকসিন নিতে বহু মানুষ ভিড় জমান। কারও মুখে ছিল না মাস্ক। পুরসভার উচিত ছিল কুপন চালু করা”।
নলহাটি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বি এম ও এইচ সুজিত রায় বলেন, “সকালের দিকে কিছুটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সব ঠিকঠাক হয়। এদিন ১৫৪০ জনকে কোভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। বেশ কিছু মানুষ ফিরে গিয়েছেন। পরবর্তীকালে আমরা তাদেরও ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করব”।