আচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের ১০ম স্মারক বক্তৃতা
Share it

নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হল ভাষাচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের ১০ম স্মারক বক্তৃতা। যৌথভাবে এর উদ্যোক্তা ছিল কলকাতা সোসাইটি ফর এশিয়ান স্টাডিজ এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিঙ্গুইস্টিক বিভাগ। মহান এই ভাষাবিদের স্মরণে সভায় বক্তব্য রাখেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অরুণ কুমার ঘোষ। তাঁর বক্তব্যের বিষয়বস্তু ছিল প্রান্ত জনের রুদ্ধ সঙ্গীত:প্রসঙ্গ মুণ্ডা ভাষাগোষ্ঠী। অধ্যাপক অরুণ কুমার ঘোষ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা কৃষ্ণা ভট্টাচার্য। তিনি কলকাতা সোসাইটি ফর এশিয়ান স্টাডিজের এগজিকিউটিভ মেম্বার এবং এই স্মারক বক্তৃতার সভাপতিত্বও করেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ইন্দ্রনীল দত্ত। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিঙ্গুইস্টিক বিভাগের প্রাক্তন প্রধান।

অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অরুণ কুমার ঘোষ তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, তাঁর শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের বেশিরভাগটাই জুড়ে রয়েছে আচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা বই বা গবেষণাপত্র। ৪৩ বছর ধরে মুণ্ডা জনগোষ্ঠীর ওপরে তাঁর ভাষা গবেষণার কথাও উল্লেখ করেন অরুণ কুমার ঘোষ।

অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা কৃষ্ণা ভট্টাচার্য বলেন, সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। ভাষাতত্ত্বের পাশাপাশি, শিল্প-সাহিত্য-গবেষণা ও অন্যান্য দিকেও তাঁর নিজস্বতার ছাপ রেখেছিলেন। তাঁর প্রতিভায় মুগ্ধ ছিলেন স্বয়ং কবিগুরুও। তার জন্যই রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ভাষাচার্য উপাধি দিয়েছিলেন।

কলকাতা সোসাইটি ফর এশিয়ান স্টাডিজের সম্পাদক শর্মিষ্ঠা দে বসু বলেন, যত দিন যাচ্ছে, সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ও গবেষণার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ততই বাড়ছে। তাই গত ১০ বছর যাবৎ ভাষাচার্যের স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করছেন তাঁরা।

কলকাতা সোসাইটি ফর এশিয়ান স্টাডিজের কোষাধ্যক্ষা অর্পিতা বসু বলেছেন, আগামীদিনেও ভাষা-শিল্প-সাহিত্য-গবেষণার ওপরে এমন আলোচনা সভা আয়োজনের উদ্যোগ নেবেন তাঁরা।

Share it