নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: ‘তৃণমূলে না’। এনিয়ে বিতর্কের জেরে ভেস্তে গেল পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতির রাজ্য যৌথ কমিটির দ্বিতীয় সভা। প্রকাশ্যে রাস্তার মধ্যেই নিজেদের মধ্যে চলে বাকবিতণ্ডা। অশান্তির জেরে যৌথ কমিটির সভা ভেস্তে যায়।
রবিবার রামপুরহাট বাস স্ট্যান্ডের একটি বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনের সভাকক্ষে পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতির রাজ্যের যৌথ কমিটির দ্বিতীয় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বিভিন্ন জেলা থেকে সমিতির পদাধিকারিরা উপস্থিত হয়েছিলেন। সভার শুরুতে সমিতির রেজুলেশন পাঠ করা হয়। রেজুলেশনে এই সমিতি তৃণমূলের অনুমোদন নিয়ে চলার কথা উল্লেখ করা হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলী এবং পুরুলিয়ার পদাধিকারিরা। ফলে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে সভাকক্ষ ছেড়ে রাস্তায় নেমে পরেন। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা।
সমিতির হুগলী জেলার কোষাধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “১৯৫৪ সালে সমিতি গঠন হয়। মাঝে কিছুদিন সমিতির কাজকর্ম ধীর গতিতে চলছিল। তবে ১৯৭৮ সালের পর থেকে ফের সমিতির কাজ চলেছে পুরোদমে। তবে কোনদিন সমিতিকে শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকতে হয়নি। তাছাড়া আমাদের সোসাইটির রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে। আমরা নতুন করে ট্রেড ইউনিয়নে ঢুকতে যাব কেন? কোন দিন আমরা সমিতির এই সিদ্ধান্ত মানব না। আমরা অরাজনৈতিক সংগঠনে ছিলাম, আছি, থাকব”। বাকবিতণ্ডার জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস সভা কক্ষেই ঢোকেনি।
বীরভূম জেলা সম্পাদক আরজুন হোসেন বলেন, “আমাদের যৌথ কমিটির সভা ছিল। আমাদের বর্তমান রাজ্য সম্পাদক রয়েছেন দ্বিজেন চৌধুরী। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় রূপচাঁদ বেরাকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক করা হয়। দুজনেই তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। আমরা চাইছি সমিতিকে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করতে। কিন্তু তিনটি জেলা চাইছে না। এনিয়ে কিছুটা মতনৈক্যের সৃষ্টি হয়। তাই এদিন সভায় কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি”।