জোশীমঠে চলছে উদ্ধারকাজ
Share it

প্রকৃতির রোষের কাছে আধুনিক সভ্যতা যে কত অসহায়, তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল চামোলির ভয়াবহ হিমবাস ধস। হিমবাহ ফাটা জলের তোড়ে সাফ হয়ে গিয়েছে তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটা বড় অংশ। ভেসে গিয়েছে জোশীমঠ সংলগ্ন বহু গ্রাম।


এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নিখোঁজ এখনও অন্তত ১৭০ জন। NDRF-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন ITBP জওয়ানরা। উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে বায়ুসেনা ও নৌবাহিনীর জওয়ানেরাও। হিমবাহের স্রোতে চামোলির জোশীমঠ টানেলের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ১৬ জনকে। এখনও সেখানে ৩০ জন আটকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের আড়াই কিলোমিটারের টানেল কাদা ও নুড়িপাথরে অবরুদ্ধ। প্রবল জলের স্রোতে ভেঙে গিয়েছে ৫টি সেতু। কার্যত, ১৩ টি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বাকি রাজ্যের। উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের চোঙা নিয়ে চিৎকার করে ডাকতে দেখা গেছে টানেলের ভিতর। “কেউ আছেন? আওয়াজ দিন”।


বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া গ্রামগুলিতে হেলিকপ্টারে করে ফেলা হচ্ছে খাওয়ার ও ত্রাণসামগ্রী। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় অন্ধকারে কাটাতে হয়েছে রাত। NDRF এর দল Sniper Dog নিয়ে এলাকায় খোঁজ চালাচ্ছে। এদিকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে আসছে।


উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত ঘোষমা করেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও যাদের পরিবারের সদস্য মারা গিয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হবে ৪ লাখ টাকা। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে বহু দেশ। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যেকোনওরকম প্রয়োজনে ভারতের পাশে আছেন বলেও জানিয়েছেন।

Share it