সপ্তাহের দ্বিতীয়দিনের লকডাউনে রাজ্যজুড়ে ভালোই প্রভাব পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবনে। সুনসান রাস্তাঘাট। বন্ধ দোকানপাট, অফিস। বন্ধ যানবাহন চলাচলও। রাস্তার বিভিন্ন মোড়গুলিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তা সত্বেও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে লকডাউন উপেক্ষা করে পথে বেরোনোর জন্য। ক্যানিং, কোচবিহার, মালদা, দুর্গাপুরে সকালে কিছু দোকান খোলা থাকায় জোর করে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড দিয়ে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় গাড়িগুলোকেও। দেখতে চাওয়া হয় প্রয়োজনীয় কাগজ।
গত দুদিন ধরে টানা বৃষ্টিও এবারের লকডাউনে অনেক মানুষকে বাধ্য করেছে ঘরে থাকতে। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে নিম্নচাপের বৃষ্টি, লকডাউন সফল করতে আশির্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের কাছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক-বাজার, যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও ওষুধের দোকান, হাসপাতালের মতো অতি জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। খোলা রয়েছে পেট্রল পাম্পগুলিও। বৃহস্পতিবারের মতো এদিনও কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ ছিল। তবে চালু রয়েছে দূরপাল্লার বিশেষ ট্রেন পরিষেবা।
কলকাতায় শুক্রবারও যথেষ্ট সক্রিয় পুলিশ। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ব্যারিকেড গড়ে পিকেটিং করতে দেখা গেছে কলকাতা পুলিশকে। বাইকে করে পাড়ায় পাড়ায় পেট্রলিং অব্যাহত ছিল এদিনও। লকডাউন আইন অমান্যকারীদের আটক করে জরিমানাও করতে দেখা যায় পুলিশকে। কোথাও কোথাও কানধরে ওঠবোসের সাজাও দেওয়া হয় আইনভঙ্গকারীদের। তবে অন্যবারের তুলনায় এবারের ৪৮ ঘণ্টার লকডাউনে সেই সংখ্যাটা খুবই কম। সব মিলিয়ে পুলিশ ও বৃষ্টির জোড়া অস্ত্রে অনেকটাই সফল এবারের লকডাউন। শুক্রবারের পর রাজ্যে পরবর্তী লকডাউনের দিন ২৭ ও ৩১ অগাস্ট।