কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে দ্বিচারিতা অবশেষে ধরা পাকিস্তানের। আন্তর্জাতিক
মঞ্চের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে শেষপর্যন্ত তারা জানিয়ে দিল করাচিতেই আছে
দাউদ ইব্রাহিম। কুখ্যাত মাফিয়াকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই করে
আসছিল ভারত। শেষ পর্যন্ত তার সত্যতা প্রমাণিত হল। এই স্বীকারোক্তির জেরে
আন্তর্জাতিক দুনিয়ার পাকিস্তান আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল বলেই মনে করছে
কূটনৈতিক মহল।
ইমরান খানের সরকার জানিয়েছে, ৮৮টি সংগঠন ও তাদের নেতাদের উপর আর্থিক
নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পাক প্রশাসনের তরফে। ওই তালিকায় রয়েছে
‘ডি-কোম্পানি’র প্রধান কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিম। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, করাচির
ক্লিফটন শহরে বর্তমানে স্বপরিবারে বসবাস করছে দাউদ। ওই নিষেধাজ্ঞায় দাউদের
পাসপোর্ট নম্বর, একাধিক ঠিকানার উল্লেখ রয়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চের চাপের মুখে
বাধ্য হয়ে যে ৮৮ জঙ্গির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পাক সরকার বাধ্য
হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে হাফিজ সইদ, জাকিউর রহমান লকভি, মাসুদ আজহারও।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে হামলা চালায় ১০ পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী। তাদের মদত
দেয় লস্কর-ই-তইবা প্রধান হাফিজ সইদ, লস্করের আরও এক মুখ জাকিউর রহমান
লাখভি ও জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার। ভারত তারপর থেকেই অভিযুক্তদের
শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছে। পাশাপাশি, ১৯৯৩ সালে মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ
মামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী দাউদ ইন্ডিয়ার নম্বর ওয়ান মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী।
বহুদিন ধরেই তাকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু, পাকিস্তান
সরকারের আশ্রয়ে থাকায় সফল হতে পারছেন না তাঁরা। এবার পাকিস্তানের
স্বীকারোক্তির ফলে বিশ্বমঞ্চে ভারতের দাবির সত্যতা প্রমাণিত হল।