নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: গৌড়ীয় মিশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রভুপাদ বা শ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদ। দৈব বর্ণাশ্রম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈষ্ণব সম্প্রদায়কে একটি স্বতন্ত্র সাংগঠনিক রূপ দান করে ছিলেন তিনি। চৈতন্য মহাপ্রভু প্রস্তাবিত শুদ্ধ সনাতন ধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করেন তিনি, যা একটা যুগকে ধারণ করে রেখেছে। সংকীর্ণতা, ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে এই ধর্ম সকল ধর্মের মানুষের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। গৌড়ীয় মিশনের তরফে সম্প্রতি এই মহান ব্যক্তিত্বকে তাঁর সার্ধশততম জন্মবর্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়।
শ্রীল প্রভুপাদই সর্বপ্রথম এই বৈষ্ণব ধর্মকে পাশ্চাত্য দেশগুলোর কাছে পরিচয়ের আলোয় আলোকিত করেছে। প্রভুপাদ সারা পৃথিবীতে চৌষট্টিটি মঠই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পাশাপাশি কোটি কোটি উজ্জ্বল অনুসরণকারী, সাধারণ মানুষ, রাজা, মহারাজা, পণ্ডিত, পাশ্চাত্য বুদ্ধিজীবী, এমনকি কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র পর্যন্ত এই ধর্মের অনুসরণ করতেন।
শ্রীল প্রভুপাদ প্রথম একজন মানুষ যিনি ভারতীয় দর্শনকে ছাপাখানার আলো দেখান। এছাড়াও বিভিন্ন ভাষায় এই দর্শনকে ছাপার অক্ষরে প্রতিটি মানুষের দরজায় পৌঁছে দেন দেশে এবং বিদেশে। এই প্রস্তাবিত সার্ধশতবর্ষের উদযাপন অনুষ্ঠানটি অলঙ্কৃত হয়েছে চারটি আলাদা বিভাগে। আন্তর্জাতিক কার্যকলাপ, দেশীয় এবং বৈদেশিক শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রচার-প্রকাশনা এবং ডিজিটাল গ্রন্থাগার (সংস্কৃত, বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া, অসমীয়া, ফ্রেঞ্চ এবং ইংরেজি)। এছাড়া একশোটি বিভিন্ন ঘটনা এবং প্রকল্প যা শ্রীল প্রভুপাদ ন’টি বিদেশি স্থানে এবং উনিশটি ভারতীয় শহরে প্রচার করেছিলেন।
শ্রীল প্রভুপাদের দিব্য আবির্ভাব হয়েছিল ১৮৭৪ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি শ্রীধাম পুরীতে। ১৯৩৭ সালের ১লা জানুয়ারি কলকাতার বাগবাজারে তিনি নিত্যলীলা প্রবিষ্ট হন। তার আবির্ভাব তিথির পুণ্য অনুষ্ঠানটি শ্রীধাম পুরীতে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০শে ফেব্রুয়ারি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ভারতের সম্মানীয় রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দ। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই আবির্ভাব তিথির অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হবে। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির আয়োজক হল গৌড়ীয় মিশন এবং শ্রীক্ষেত্র সারস্বত গৌড়ীয় বৈষ্ণব সঙ্ঘ, পুরী।