বড়িশা ক্লাবের পুজোর থিম
Share it

করোনা আবহে এবার পুজো হবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন কলকাতার বড় বড় ক্লাবের পুজোর উদ্যোক্তারা। নেপথ্যে করোনা ঘিরে বাংলার ঘরে ঘরে যন্ত্রণা। সেই যন্ত্রণার ছবিই ফুটে উঠেছে কলকাতার বড়িশা ক্লাবের পুজোর থিমে। যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল। এখানে এবার পুজোর থিম “মা যখন পরিযায়ী শ্রমিক”।

Barisha Club Theme Puja
‘মা যখন পরিযায়ী শ্রমিক’

করোনা সংক্রমণের জেরে মার্চ মাসে তড়িঘড়ি দেশজুড়ে জারি করা হয়েছিল লকডাউন। বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেন সহ সবরকম পরিবহন ব্যবস্থা। কবে কীভাবে বাড়ি ফেরা সম্ভব হবে তা বুঝতে না পেরে কোনও কিছু না ভেবে উদভ্রান্তের মতো পেয়ে হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। রাতের পর রাত পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ অতিক্রমের পর জল ও খাবার না পেয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্লান্ত ও অবসন্ন ছবি দেখা যায় দেশের সব প্রান্তেই। এইসব পরিযায়ী শ্রমিকদের শ্রদ্ধা জানাতে এবার বড়িশা ক্লাবে সেই শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার পথের যন্ত্রণাকে পুজো মণ্ডপে থিম হিসেবে তুলে ধরেছেন শিল্পী রিন্টু দাস।

শিল্পী বিকাশ ভট্টাচার্যের চিত্রাঙ্কন
শিল্পী বিকাশ ভট্টাচার্যের চিত্রাঙ্কন

পরিযায়ী শ্রমিকের রূপে স্বয়ং মা দুর্গা হাজির হয়েছেন এখানে। কোলে কার্তিক। লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশকে নিয়ে ত্রাণের আশায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন মা দুর্গা। এধরনের থিম ভাবনা প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই খোলাখুলি নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন শিল্পী রিন্টু দাস। তাঁর কথায়, “বেশ কিছু স্বনামধন্য বাঙালী চিত্র ও স্থাপত্য শিল্পী আমার অনুপ্রেরণা। এবারের করোনা আবহে পরিযায়ী শ্রমিকদের যন্ত্রণা অনেকের মতোই আমাকেও আবেগাপ্লুত করে তোলে। তাই বড়িশা ক্লাবে আমার ভাবনা ছিল সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের যন্ত্রণা যাতে শুধুই মানুষের কানে নয়, হৃদয়েও প্রবেশ করে।”

বড়িশা ক্লাবের পুজোর থিম
বড়িশা ক্লাবের পুজোর থিম

“মা এর ইচ্ছায় আমারই পরম শ্রদ্ধেয় শিল্পী শ্রী বিকাশ ভট্টাচার্য মহাশয়ের একটি মর্মস্পর্শী অঙ্কন আমার ভাবনার সঙ্গে মিলে যায়। প্রণম্য শিক্ষাগুরুকে গুরু দক্ষিণা দেওয়ার যোগ্যতা আমার কোথায়? তাই ওনার এই মর্মস্পর্শী চিত্রাঙ্কন কে অনুসরণ করে দুর্গাপূজায় আমার সেই প্রাথমিক চিন্তাধারা কে একটা সামগ্রিক রূপ দিয়েছি। মূর্তি নির্মাণে আমাকে ততোধিক সহযোগিতা করেছে আমারই এক ভাই পল্লব ভৌমিক। এটাই প্রণম্য শিল্পী শ্রী বিকাশ ভট্টাচার্য ও অগণিত পরিযায়ী মায়েদের প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য।”

Share it